কফি পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। এর তীব্র স্বাদ এবং মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষমতার জন্য এটি অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু কফি কি শুধুই সুস্বাদু এবং শক্তিবৃদ্ধিকারী? নাকি এর আরও কিছু উপকারিতা আছে?
কফির উপকারিতা জেনে নিন।
এক কাপ কফি পান করলে তা আপনাকে সারাদিন চাঙ্গা রাখতে কাজ করবে। দিনভর আপনি থাকবেন কর্মক্ষম। এছাড়াও কফিকে ভালোবাসার জন্য রয়েছে আরও অনেক কারণ। আপনি ব্ল্যাক কফি খান কিংবা এসপ্রেসো, সব ধরনের কফিই আপনার জন্য কিছু না কিছু উপকার বয়ে আনবে। পুষ্টিবিদরা এমনটাই জানিয়েছেন। এটি আরও নানাভাবে শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে প্রমাণিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কফি খেলে কী হয় —
উদ্বিগ্নতা দূর করে
কফি আমাদের মস্তিষ্ক সংক্রান্ত নিউরোট্রান্সমিটারকে ব্লক করে ক্যাফেইন, যা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে আমরা মেজাজ ধরে রাখতে পারি ও মানসিক শক্তি অনুভব করি। বিভিন্ন ধরনের চাপ সামলে নির্বিঘ্নে কাজে মনোযোগ দেওয়ার জন্য এক কাপ কফির বিকল্প নেই। এটি আমাদের উদ্বিগ্নতা কমিয়ে কাজে মনোনিবেশ করা সহজ করে দেয়।
হজম ভালো করতে সাহায্য করে
হজমের সমস্যা ঠিক করতে বা হজম ভালো করতে কফি খুবই কার্যকর। এটি আপনার বিপাকীয় হার ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। এটি আপনার শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী এবং এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারলেই নানা সুবিধা পাবেন। আপনার যদি নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস থাকে তবে হজম ক্ষমতা আরও ভালো হবে।
শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
কফি আপনার শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি আপনার অ্যাড্রেনালিন লেভেল বাড়িয়ে তোলে এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের ক্ষরণ ঘটায়, যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে, শরীরচর্চার আগে এক কাপ কফি পান করলে আপনি পাবেন আরও বেশি উদ্যম এবং চর্চার পরও ক্লান্তি অনুভব করবেন না। আপনি যখন জিমে যাবেন বা কোনো শারীরিক পরিশ্রমে লিপ্ত হবেন, তখন কফির এই প্রাকৃতিক শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা আপনাকে নতুন করে প্রেরণা দেবে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
আমাদের সুস্থতার জন্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ খাবার কতটা জরুরি এ বিষয়ে সবারই কম বেশি জানা রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত কফি পান করেন তবে মিলবে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। কারণ কফি হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এমনকী বিভিন্ন ফল ও সবজির তুলনায় বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মিলবে কফিতে।
অসুখ থেকে দূরে রাখেতে সাহায্য করে
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত, যারা নিয়মিত কফি পান করেন তারা মারাত্মক সব অসুখ যেমন লিভার ক্যান্সার, স্ট্রোক, ডিপ্রেশন এবং আলঝাইমার থেকে দূরে থাকেন। কফিতে থাকা নানা উপকারী উপাদান এসব রোগের থেকে আপনাকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
প্রতিদিন দুই কাপ পর্যন্ত কফি পান করতে পারেন। এর বেশি পান না করাই ভালো। এই অভ্যাস আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। তবে পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় কফি পান না করাই ভালো।
মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে
কফি আমাদের মেজাজ ভালো রাখে এবং মানসিক অবসাদ দূর করে। এটি স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে এবং মানসিক অবসাদ কমায়। বন্ধু বা পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সময় কফি একটি চমৎকার সঙ্গী হতে পারে।