পোপা সামুদ্রিক মাছ, বঙ্গোপসাগরে প্রচুর পাওয়া যায়। অনেকে এ মাছকে পোয়া, পামা, কই, ভোলা নামেও ডাকে। মাছটির ইংরেজি নাম Yellow Croaker. কাঁটা কম (মাঝে পার্টিশনের কাঁটা যা সব মাছে থাকে) মাঝারি আকৃতির এ মাছটির রং কিছুটা সিলভার কালারের। বিশেষ প্রক্রিয়াই প্রসেসিং করা মাছটির শুটকির দেশে-বিদেশে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। গুণগত মান ও স্বাদের দিক দিয়ে লইট্যা, ছুরি বা অন্যান্য শুটকির তুলনায় বহুগুণে মজাদার এই Exported পোপা শুটকির ভূনা বা তরকারি যে কী স্বাদ তা না খেলে বুঝা যাবে না।
Exported পোপা(পোয়া) প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষিত খাবার, এটার মধ্যে মাছের সব গুনাগুন আছে। এটা ওমেগা 3 তে ভরপুর, প্রোটিন সমৃদ্ধ, ফ্যাট ফ্রি, মিনারেল ভরা, সোডিয়াম বিশেষ করে পটাশিয়াম ভরপুর, কোলেস্টেরল কম এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। এ শুটকি খেলে হার্টের সমস্যা কম হয়, দেহের পেশী মজবুত হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শুটকির প্রোটিনে যে অ্যামিনো এসিড থাকে, তা প্রায় ডিমের অ্যামিনো এসিডের সঙ্গে তুলনীয়।
Exported পোপা(পোয়া) শুটকিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের জন্য উপকারী অনেক রকম খনিজ লবণ রয়েছে এই মাছে। খনিজ লবণ আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করে, দাঁতের মাড়িকে করে দৃঢ়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে নার্ভ ও মাংসপেশির সঠিক কার্যক্রমে সহায়তা করে। শুটকি মাছে তাজা মাছের তুলনায় আমিষ, প্রোটিন ও খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। রক্তস্বল্পতা ও গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী। ক্যালসিয়াম ও লৌহের পরিমাণ অনেক। যারা দুধ খেতে পারেন না বা ল্যাকটোজে ইনটলারেন্স আছে, তারা প্রোটিনের বিকল্প উৎস হিসেবে শুঁটকি খেতে পারেন। হরমোন জনিত সমস্যা দূর করে।